মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আকরাম হোসেন (৪৫) নামে একজন বাসচালককে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের লাশ নিয়ে তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
গত বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত আকরাম মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাবার লাশ ঘরে রেখেই সকালে এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেন মেয়ে রাকিয়া আলফি। এই ঘটনায় এলাকায় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত আকরামের পরিবার জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় একদল যুবক তার মেয়ে রাকিয়া আলফিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ করেছিলেন আকরাম। তারই জের ধরে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্ত যুবকেরা আকরামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ইট দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা হলেন মো. নান্টু (২৮), মো. বিশাল (২৮), খোকন মিয়া (২৮), তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২০), মো. নাহিদ (২৫) ও মো. শিশির (২০)। এদের সবাই এলাকার পরিচিত বখাটে হিসেবে চিহ্নিত।
নিহত আকরামের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রাকিয়া বলেন, ‘তারা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিন তারা অশ্লীল ভাষায় গালি দিলে আমি বাবাকে জানাই। বাবা বিষয়টি মীমাংসার জন্য কথা বলতে গেলে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করা হয়। আমাদের একটাই দাবি , খুনিদের ফাঁসি চাই।’
নিহত আকরাম রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন এবং তালাইমারি এলাকার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হাসান জানান, হামলার ঘটনায় আকরাম গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।