শিক্ষক নিবন্ধনে ফেল করা প্রার্থীদের এনটিআরসিএর সামনে অবস্থান | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

শিক্ষক নিবন্ধনে ফেল করা প্রার্থীদের এনটিআরসিএর সামনে অবস্থান

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #এনটিআরসিএ #শিক্ষক

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

রোববার (১৫ জুন) সকালে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। ফেল করা প্রার্থীরা বলেন, আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না। এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ফ্যাসিস্টের দোসর। তাই তিনি আমাদের ফেল করিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল গত ৪ জুন প্রকাশ করা হয়। এতে ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ফেল করা প্রার্থীরা। বোর্ডভেদে বৈষম্য করা হয়েছে। যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। একই সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ফেল করা প্রার্থীরা।

ফেল করা প্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ভাইভা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছেন। যেমন, উনি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার কারণে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি রেজাল্টের আগেই ডিএমপি কমিশনারের কাছে পুলিশ সাপোর্ট চেয়েছে।

৪ জুন রেজাল্টের পরে সব অফিস আদালত বন্ধ করার কারণে উনি ওই দিন রেজাল্ট দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা হাঙ্গামা না করতে পারে। তিনি সরকারি ছুটির পরে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন যাতে চাকরি প্রার্থীরা তার সঙ্গে কথা বলতে না পারে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে কীভাবে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন। আমরা এই এনটিআরসি চেয়ারম্যানের পদত্যগ দাবি করছি।

ফেল করা প্রার্থীরা আরো বলেন, আমরা যারা ভাইভা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে। যদি না দেয় তাহলে ১৫ জুন থেকে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না। ভাইভা বোর্ডে এমনও বোর্ড আছে যেখানে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে, একজনকে পাস করানো হয়েছে। ৩০ জনের মধ্যে আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। তাহলে একধারে এত ফেল করানোর মানে কি?

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ব্যবস্থাপনায় গত বছরের ১২ ও ১৩ জুলাই অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজর ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #এনটিআরসিএ #শিক্ষক