এনটিআরসিএর সামনে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের অবস্থান | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএর সামনে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের অবস্থান

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা।

#শিক্ষক নিবন্ধন #চাকরি

বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা।

সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে ১-১২তম সাধারণ নিবন্ধনধারী শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের ব্যানারে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা বলেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর থেকে এনটিআরসিএর নানা রকম দুর্নীতি, বৈষম্য, স্বজন-প্রীতি, দলীয়করণ, আইনের অপব্যবহার, মনগড়া নিয়মনীতি, ঘুষ বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য আমরা ১-১২তম সাধারণ শিক্ষকবৃন্দরা আন্দোলন, সমাবেশ করেছি, বিভিন্ন স্থানে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, অধিকার বঞ্চিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বৈধ সনদ অর্জন করার পরেও বিগত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলের যোগসাজশে চরম বৈষম্য এবং একতরফা, অমানবিক এবং প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অতিকষ্টে আমরা দিনাতিপাত করছি।

তারা বলেন, এনটিআরসিএ ৩৫+ বয়সের দোহাই দিয়ে আমাদের অধিকার হরণ করেছে। যেটা চাকরি বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও সঠিক নয়। আমরা যখন আবেদন করে পাশ করেছি তখন সবার বয়স ৩০ এর মধ্যে ছিল। এনটিআরসিএর ১-১২ তমদের রোল ও রেজি. নম্বর ব্যবহার করে ৬০ হাজার জাল সনদ দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং তালাশ ১৫২ নং পর্ব প্রমাণ করেছে।

আরও বলেন, ২ লাখে সনদ ও ৬/৮ লাখে চাকরি প্রদান করে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছে বিগত সরকার। যেটা দেশের ভবিষ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রতি শূন্য পদের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষক বাছাই করার কথা থাকলেও এনটিআরসিএ সেটা করেননি। তারা ইচ্ছেমত শিক্ষক পাস করিয়ে নিয়োগ না দিয়ে শূন্য পদ রেখে দুর্নীতি করেছে।

এনটিআরসিএ এই পর্যন্ত ১৭/১৮টি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে এবং তার বিপরীতে নিয়োগ সুপারিশ করেছে মাত্র ৫ বার (২০১৬, ২০১৮, ২০২০, ২০২২, এবং ২০২৪)। একমাত্র এনটিআরসিএর চাকরির জন্য দুইবার পরীক্ষা বা দুইবার আবেদন করতে হয়, দুইবার টাকা খরচ করতে হয়, যেটা খুবই হাস্যকর। যেমন প্রথমবার এমসিকিউ, রিটেন বা ভাইভা পাস করতে হয় এবং পরে আবার মেধা মতে আবেদন করতে হয় নিয়োগের জন্য।

গত সরকারের আমলে শাহবাগে ২০০ দিনের আন্দোলন করা হয়েছিল। সরকার পতনের পরও আমরা বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম, সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এরপরও আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিগত কর্মসূচি ও আন্দোলনের ফলে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েও দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া ২৩ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণকৃত চিঠির ও নিয়োগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বলেন তারা।

#শিক্ষক নিবন্ধন #চাকরি