অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীরা ফল প্রকাশের পর থেকে নানা অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। এবার তারা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে আগামীকাল রোববার সকাল থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করবেন।
ফেল করা প্রার্থীরা বলেন, আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না। এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ফ্যাসিস্টের দোসর। তাই তিনি আমাদের ফেল করিয়েছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফেল করা প্রার্থীরা।
তারা বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল গত ৪ জুন প্রকাশ করা হয়। এতে ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ফেল করা প্রার্থীরা। বোর্ডভেদে বৈষম্য করা হয়েছে। যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। একই সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ফেল করা প্রার্থীরা।
অবশ্যই এনটিআরসি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ফেল করিয়েছে। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এই বৈষম্য করেছে। আমরা একটা বিষয়ে ক্লিয়ার এনটিআরসি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দোসর। কারণ এরা আওয়ামী লীগের সিলেক্টকৃত সচিব ও উপসচিব।তাই আমরা আওয়ামী লীগের দোসরদের পূর্ণ শাস্তি দাবি করছি। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ভাইভা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছেন। যেমন, উনি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করার কারণে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি রেজাল্টের আগেই ডিএমপি কমিশনারের কাছে পুলিশ সাপোর্ট চেয়েছে। চার তারিখে রেজাল্টের পরে সব অফিস আদালত বন্ধ করার কারণে উনি চার তারিখে রেজাল্ট দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা হাঙ্গামা না করতে পারে। তিনি সরকারি ছুটির পরে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন যাতে চাকরি প্রার্থীরা তার সঙ্গে কথা বলতে না পারে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে কীভাবে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন। আমরা এই এনটিআরসি চেয়ারম্যানের পদত্যগ দাবি করছি।
ফেল করা প্রার্থীরা আরো বলেন, আমরা যারা ভাইভা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে। যদি না দেয় তাহলে ১৫ জুন থেকে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না।
আপনারা লক্ষ্য করবেন ভাইভা বোর্ডে এমনও বোর্ড আছে যেখানে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে, একজনকে পাস করানো হয়েছে। ৩০ জনের মধ্যে আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। তাহলে একধারে এত ফেল করানোর মানে কি?