প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া, প্রথম শিশু মুক্তিযোদ্ধা শিশু তারেক ও শিশু আরাফাত- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের এই মন্তব্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ মন্তব্যকে ইতিহাস বিকৃতি বলেছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সভায় এই বক্তব্য দেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অংশটি মূলত বক্তব্যের খন্ডাংশ। মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৫শে মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান ঘোষণা দেন, মুক্তিযুদ্ধ করবে ও দেশের জন্য প্রাণ দেবে। সে হিসেবে বলা যায় প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া ও প্রথম শিশু মুক্তিযোদ্ধা শিশু তারেক, শিশু আরাফাত। আর শুধু জিয়াউর রহমান নয় তার সাথে সেদিন শপথ করা ৩০০ সৈনিক, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিতে শপথ করেছিল। তাদের সবার স্ত্রী, সন্তানেরা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় সমমর্যাদা পাওয়া উচিৎ।
এই বক্তব্যের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল বক্তব্যের খণ্ডাংশ ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেটিজেনদের সমালোচনা ও তীর্যক মন্তব্যের মুখে পড়েন তিনি।
এক সমালোচনাকারী আরিফুল ইসলাম লেখেন, ভিসি স্যারের এমন মন্তব্য একটি দলের গোলামি ছাড়া কিছু না।
আরেকজন সমালোচনাকারী নুরুল আফসান কাজি লেখেন, আর যাই হোক এই ধরনের লোক, ভিসি হওয়ার যোগ্য তো নয়ই বরং শিক্ষকতার পেশায় এই ধরনের লোক থাকলে পেশাটাই কলঙ্কিত হবে।
ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে সোহেল আহম্মেদ লেখেন, স্বৈরাচারের মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা ছাড়া আর কিছুই নয় এই বক্তব্য।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।