নতুন এমপিও আবেদনে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যোগ্যতার সনদ ভুয়া বা জাল মন্তব্য করার পরও এমপিও আবেদন করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বেতন-ভাতা সাময়িক স্থগিতসহ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) মামলা দায়ের করার জন্য বলা হবে।
একই সঙ্গে ভুয়া বা জাল ডিজির প্রতিনিধির আদেশ তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এমপিও আবেদনের ক্ষেত্রে চার নির্দেশনা মানতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যাচাই করে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠান।
এমপিও সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই উপকমিটি এবং এমপিও কমিটির নীতিমালায় প্রতিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন বা বাতিল করা হয়। এমপিও আবেদন বাতিল হলে মন্তব্যে কেনো বাতিল করা হলো তার কারণ জানানো হয়।
এছাড়াও বলা হয়, অধিকাংশ মাদরাসার এমপিওভুক্তির দাখিল করা আবেদন প্রতিষ্ঠান প্রধান সঠিকভাবে যাচাই না করে এনটিআরসিএর ভুয়া নিবন্ধন সনদ ও ভুয়া সুপারিশ এবং এ বিষয়ে কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের আবেদন বারবার পাঠাচ্ছে।
এমনকি একই কারণে এমপিওর আবেদনটি বারবার বাতিল হওয়ার পরেও কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান এমপিও প্রাপ্যতা নেই এমন ভুয়া ও জাল সনদধারী এবং অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আবেদন বারবার পাঠাচ্ছে। যার কারণে প্রতি মাসে এমপিওর আবেদন যাচাই কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ চিঠিতে এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া গতিশীল ও স্বচ্ছ করার সুবিধার্থে ৪ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো- বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে সুপারিশ পাওয়া সনদধারী শিক্ষকের নাম, সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম গরমিল থাকলে কিংবা দাখিল করা আবেদন যাচাইকালে কোনো সন্দেহ হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এনটিআরসিএ কর্তৃক যাচাইপূর্বক এমপিওভুক্তির আবেদন পাঠাতে হবে।
অধিদপ্তরের এনটিআরসিএ সনদ বা কাম্য যোগ্যতার সনদ ভুয়া বা জাল মন্তব্য করে এমপিও আবেদন বাতিল করা হলেও সে সনদ ও সুপারিশের সঠিকতা নিরুপণ না করে আবার এমপিওভুক্তির আবেদন পাঠানো হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সাময়িক স্থগিতসহ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) মামলা দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
মাদরাসার পরিচালনা কমিটি থেকে এনটিআরসিএর আওতার বাইরের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।
ভুয়া বা জাল ডিজির প্রতিনিধির আদেশ তৈরি করে শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন পাঠালে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চাকরি হতে অপসারণসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড সাময়িকভাবে স্থগিত বা ক্ষেত্রমতে স্থায়ীভাবে এমপিও বাতিলের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা ও নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগদানের তারিখ থেকে দুই মাসের মধ্যে এমপিও আবেদনের ফাইল পাঠাতে হবে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সাময়িক স্থগিতসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলের জন্য সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বরাবর সুপারিশ করা হবে।
অনলাইনে পাঠানো এমপিওভুক্তির আবেদন বাতিলের কারণের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় সব চাহিত তথ্য ও ডকুমেন্টেস সংযোজন করে ফের নতুন এমপিও ফাইল পাঠাতে হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।