গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবাকে সহজলভ্য করতে একদল তরুণ উদ্ভাবক নিয়ে এসেছে অনলাইন রিয়েল টাইম স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্ম মোবাইল অ্যাপ ‘মানব সেবা’। মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেয়া এবং শহরাঞ্চলের বাইরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব মোকাবিলায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
জানা যায়, এই অনলাইন প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোবায়ের হোসাইন ভুঁইয়া, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্ত ধর, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিটিও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিফাতুল্লাহ। এছাড়াও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফারদিন আলম এবং সিটি ইউনিভার্সিটির সাগর হোসেন ও ফাহিম রিমন একত্রে এই অনলাইন প্লাটফর্মটি উদ্ভাবন করেন।
অ্যাপের উদ্ভাবকরা জানান, ‘মানব সেবা’ প্লাটফর্মটি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট (ডিইআইইডি) প্রকল্পের অধীনে আর্লি-স্টেজ স্টার্ট-আপ অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রামে সুযোগ পেয়েছে।
এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী বৃদ্ধি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। যার মধ্যে কিউ৩, কিউ৪ ২০২৫ এ একটি পাইলট পর্যায় রয়েছে। যেখানে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং বরিশালের ১৫টি উপজেলাকে লক্ষ্য করে ৩,৬০০ এর অধিক রোগীর সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘মানব সেবা’ প্লাটফর্মটি খরচ-সাশ্রয়ী এবং সময় সাশ্রয়ী যত্ন প্রদানের জন্য একটি বহুমুখী পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। প্ল্যাটফর্মটি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এজেন্ট পয়েন্ট (ডিসিএপি) মডেলকে কাজে লাগাবে। যেখানে গ্রামীণ অঞ্চলের স্থানীয় এজেন্টদের প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিভাইস, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং টেলিমেডিসিন লিঙ্কসহ সজ্জিত করা হবে।
এটি মেডিকেল রিপোর্ট তাৎক্ষণিক আপলোড এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা রিয়েল টাইম রোগ নির্ণয়ের সুযোগ করে দেবে। প্ল্যাটফর্মটি তার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাতীয় ডাক্তারদের সাথে দূরবর্তী পরামর্শও দেবে।
প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জোবায়ের হোসাইন ভুঁইয়া জানান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। যারা প্রায়ই অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভাবে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন । মানব সেবা সরাসরি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
গ্রামীণ ব্যক্তিদের ‘মানব সেবা’ অ্যাপ ব্যবহার করে রিয়েল টাইমে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করতে এবং রোগ নির্ণয় পেতে সহায়তা করবে। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ডিসিএপি সেটআপ, অপারেশন এবং বিপণন প্রচেষ্টার জন্য চার লাখ মার্কিন ডলার প্রি-সিড ফান্ড প্রয়োজন।