বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগসহ ৩ জনকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের মসজিদ গেটে এ হামলা হয়। ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী ইয়াসিন ভুইয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদলের একদল কর্মী এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল প্রধান কাজী জায়েদ।
এ বিষয়ে জানতে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
তিনি জানান, ইয়াসিন আগে ছাত্রলীগ করতো। ৫ আগস্টের পর সে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রশ্রয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে সোমবার রাতে সাধারণ ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ইয়াসিনকে মারধর করেছে। এরপর রাতে ছাত্রদলের একটি পক্ষ সোহাগকে মারধরের জন্য পরিকল্পনা করে। এ নিয়ে ছাত্রদলের হ্যোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তথ্য আদান-প্রদানের তথ্য তাদের কাছে রয়েছে।
জায়েদ জানান, কলেজের উন্নয়নে ৫ দফার চলমান আন্দোলন স্থগিত করা নিয়ে মঙ্গলবার কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে সভা হয়। সভা শেষে সোহাগ ও সংগঠনের আরেক কর্মী ফেরদৌসি রুমি ক্যাম্পস থেকে বের হচ্ছিলেন। পরে ইয়াসিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি পক্ষ মসজিদ গেটে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় ওই দুজনসহ শাহাবুদ্দিন মিয়া নামক আরেক ছাত্র আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইয়াসিন ভুইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিএম কলেজ ছাত্রদলের ১ নম্বর যুগ্ন আহ্বায়ক বাবর খালেদ বলেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পুরো ঘটনা। এখানে ছাত্রদলের কোনো দায় নেই। কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। যে ছেলেকে ছাত্রদল বানানো হচ্ছে সে ছাত্রদলের কেউ নয়। মঙ্গলবার দুপুরে মসজিদ গেটে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।