চাঁদপুরের কচুয়ায় পুরনো রহিমানগর বেগম আয়েশা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বদল করে আওয়ামী লীগ নেতার নামে করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়য়রা নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, কচুয়ার বেগম আয়েশা ভাওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়টি ৮৩ বছর ধরে এই নামে চলছে। এই নাম পরিবর্তন করলে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও স্কুল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।
বুধবার কচুয়ার রহিমানগর বেগম আয়েশা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ও মানববন্ধন করা হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে এ এসব কথা তুলে ধরেছেন। এ সময় বক্তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণও দাবি করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজসে এই চক্রান্ত চলছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক নাম পরিবর্তননের জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদনও দিয়েছেন। এমন অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
তবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম পরিদর্শনের বিষয়টি অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ব্যাপারে আন্দোলন চলছে আমি খবর পেয়েছি। আমার পরিদর্শক টিম যাবে এটা পরিদর্শন করার জন্য। এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন এখনো দেয়া হয়নি। কালকে পরিদর্শন করার জন্য দুইজন যাবেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কচুয়ার রহিমানগর বেগম আয়েশা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রহিমানগর আলহাজ্ব সিকান্দর আলী উচ্চ বিদ্যালয়' নামে নামকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিলো। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা অনুসরণ করে মতামতসহ পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিলো। তবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক অধ্যাপক আবু সালেহ মো. তারিক মাহমুদ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদনও দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় শিক্ষাবিদরা জানান, ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয়টি হিসাবে প্রায় ৮৩ বছর সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে ইদানিং এলাকার কিছু কুচক্রী মহল গোপনে আওয়ামী প্রেতাত্তাদের দোষর এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনসহ বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের কোনো প্রয়াত নেতার নামে নামকরণের চক্রান্ত করছে। আমরা এলাকাবাসী এ চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামীকাল ৩ জুলাই দুপরে রহিমানগর বেগম আয়েশা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফের প্রতিবাদ সমাবেশে ও মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান সব ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।