নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতাল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় হাসপাতাল ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে হাসপাতালে তারা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সমস্যা নিরসনে হাসপাতাল প্রশাসনকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। কিন্তু হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদ নজরুল অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হয়রানি করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনিয়ম-দুর্নীতি ও হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দূর করার বিষয়ে হাসপাতাল প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন, এই হাসপাতাল অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা পান না। চিকিসৎকেরা হাসাপতালে না-এসে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতাল ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ কালবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অথচ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ পান না।
হাসিব চৌধুরী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সমস্যা সমাধানে যতক্ষণ হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ না নেয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকবে। তবে চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটানো হবে না।
এবিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদ নজরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।