শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দিতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা | স্কুল নিউজ

শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দিতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

‘শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে, কারণ তারা তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটায়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।’

#শিক্ষার্থী #গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘শিশুদের মানসিক বিকাশ, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা এবং সুন্দর পরিবেশে শিক্ষাদান নিশ্চিত করতেই ঢাকা মহানগরীতে দৃষ্টিনন্দন নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনগুলোতে শিশুরা আধুনিক ও মনোরম পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে। ভবিষ্যতে ঢাকার বাইরেও এ ধরনের বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে না, তারা স্কুলের পরিবেশ ও কর্মসূচি থেকেও শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে, কারণ তারা তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটায়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু ভালো ভবন হলেই হবে না, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।’

রোববার (১ জুন) উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’-এর আওতায় পাঁচটি নতুন স্কুল ভবনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।’

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া জানান, তারা টেকসই ও মানসম্মত ভবন নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ছোহরাব আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (শিক্ষা) মো. মাহাবুব আলম, উপপ্রকল্প পরিচালক এস. এম. মোর্শেদ বিপুল, ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাচ্চু মিয়া, এবং সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. কবির উদ্দীন শাহসহ এলজিইডি ও শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ১৫৬টি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আজ উদ্বোধন হওয়া পাঁচটি বিদ্যালয় হলো- আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াক-আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিরপুর, সুত্রাপুর কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোট কক্ষ সংখ্যা রয়েছে ৭৪টি, ওয়াস ব্লক রয়েছে ২৯টি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষার্থী #গণশিক্ষা উপদেষ্টা