নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে মামুনকে কর্মস্থল থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান ছাত্ররা। পরে তাকে সুধারাম থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, আবদুল্লাহ আল মামুনকে আইন বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে রেজিস্টার দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল্লাহ আল মামুন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক মেম্বারের ছেলে। তিনি (মামুন) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। বুধবার ওই ঘটনার ছবি-ভিডিও প্রকাশ হলে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সোপর্দ করা হয় পুলিশে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নোবিপ্রবি থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।