পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হল ছেড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গত ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। তবে ক্লাস-পরীক্ষা না থাকায় এর আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অনেকে। তবে বরাবরের মতো এবারও ক্যাম্পাসেই ঈদ করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী।
ঈদের ছুটিতেও বাড়িতে না যাওয়া শিক্ষার্থীরা কথা বলেছেন আমাদের বার্তার সঙ্গে। ক্যাম্পাসে ঈদ উদযাপনের ভিন্ন ভিন্ন গল্প শুনিয়েছেন তারা। কারো পারিবারিক সমস্যা, আবারো ঈদের পরেই কারো রয়েছে চাকরির পরীক্ষা। এমন আরও অনেক কারণ দেখিয়েই এবারের ঈদে হলে থাকছেন তারা।
গত ঈদের হলে থেকেছেন হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান রাফি। এবারো ফিরছেন না বাড়িতে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আনন্দে ছুটি কাটাতেই মানুষ বাড়িতে ফেরে। আমার মা মারা গেছেন অনেক আগেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আমাদের সঙ্গে ঈদ করেন না। তাই বাড়ি ফেরার উপলক্ষটাও আমি পাই না। এখন হলে ঈদ করলে ভালো লাগে। হলই এখন আমার পরিবার হয়ে উঠেছে।’
রাফি আরও বলেন, ‘যারা ঈদে বাড়ি ফিরছেন না, হল থেকে তাদের জন্য সকালের নাস্তায় সেমাই দেওয়া হবে। দুপুরের খাবারে পোলাও-মাংস এবং সঙ্গে কোমল পানীয় থাকতে পারে।’
স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী সানি সরকার বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ, তা যখন পরিবারের সঙ্গে হয়, তখন অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। এবার কিছু ব্যক্তিগত কারণে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে না আমার। আমাদের হলের আরও কয়েকজন ঈদ করবেন হলে থেকে।’
এ ব্যাপারে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক সুপন বলেন, ‘ঈদে যারা বাড়িতে যাচ্ছেন না, ইতোমধ্যে আমরা তাদের নামের তালিকা করেছি। তাদেরকে আমরা সকালে সেমাই খাওয়াবো এবং দুপুরেও তাদের জন্য থাকবে খাবারের ব্যবস্থা৷ নিরাপত্তার বিষয়টাও আমরা নিশ্চিত করেছি। হলের শিক্ষার্থী ছাড়া হলের ভেতরে কারো ঢোকার অনুমতি নেই ঈদের ছুটির মধ্যে।’
প্রসঙ্গত, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। ফলে দীর্ঘ ছুটি শেষে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে ক্যাম্পাস।