শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন রিজভী বলেন, ছাত্রদের এপিএস’র নামে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ ভয়ঙ্কর। দুই উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) দুর্নীতির কাহিনি শুনলে শেখ হাসিনাও বিস্ময়ে তিনবার ডিগবাজি খেতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো শেখ হাসিনাও বলতেন- তোমরা আমাদের বলো- এখন দেখো কী অবস্থা!
ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন- এ নিয়ে মানুষকে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ঘোরানোর অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার কেনো হবে না এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। রিজভী বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন, সরকার নির্বাচন নিয়ে কেনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে মানুষকে ঘোরাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু ছাত্ররা ভালো করতেন যদি তারা রাষ্ট্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সোচ্চার থাকতেন। কারণ অনেক অনাচার ঘটে গেছে রাষ্ট্রের মধ্যে। সেটাকে ঠিক করার জন্য ছাত্রদের কণ্ঠের শক্তি আরো তীব্র করার দরকার ছিল। যখন তারা ক্ষমতার অংশ হয়েছেন তখন তাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কেন তাদের এপিএসের নামে শতকোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আসবে? কেন তাদের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠবে?
আলোচনায় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গর্ব করে বলেন তার পিয়ন হেলিকপ্টার ছাড়া বাড়িতে যায় না। একথা বলে তিনি দুঃখ বা আফসোস করেন না, ভেতরে ভেতরে তিনি গর্ববোধ করেন। হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম তার বাড়ির একজন কাজের লোকের নামে তার লুট করে নেওয়া একটি ব্যাংক থেকে ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাসিনা দেশে থেকে কী করেছিলেন- তিনি দেশটিকে একেবারে লুট করে নিয়ে গেছেন। দেশের অধিকাংশ টাকাই পাচার হয়েছে। কিছু টাকা হয়তো এখনও রয়ে গেছে। সেই লুট করা টাকা তারা নানাভাবে দেশের বিরুদ্ধে খরচ করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, আদালত শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছেন। ফ্যাসিবাদের বিচারকদের বিচার হতে হবে। হিটলারের সহযোগী বিচারকদের যদি বিচার হতে পারে শেখ হাসিনার সহযোগী বিচারকদের কেনো হবে না। অধিকাংশ উপদেষ্টার দুর্নীতির সাথে সম্পর্ক নেই কিন্তু কারো কারো বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা সত্য।