বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানালেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংঘটক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ শুরু হয়েছে সে আওয়াজ পুরো দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধার মধ্যে দিয়ে সন্তান লালন-পালন করেও এই এক্সট্রা বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা নিতে চান তারা আর যা-ই হোক বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ হতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘মাঠে কাজ করা দিনমজুর, রিকশাচালক, শ্রমিকসহ দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বিপরীতে গিয়ে এই কোটা সুবিধা নেওয়া আপনার দুর্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় তুলে ধরে, আপনার আত্মসম্মানের মানদণ্ড সেট করে। আপনার আত্মমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
সারা দিন সরকার, দেশ, মানুষ নিয়ে হাজারটা সমালোচনা করলাম আর নিজের বেলা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলাম অথবা বৈষম্যের পক্ষে সাফাই গাইলাম; এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভণ্ডামির বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় একাডেমিক সুযোগ সুবিধা অন্য সাধারণ ১০টা পরিবারের চেয়ে ভালো পাওয়ার পরেও যদি আপনার সন্তান নিজের যোগ্যতায় একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পায় তাহলে সে যেখানের যোগ্য অনুগ্রহ করে তাকে সেখানেই ভর্তি করান। তুলনামূলক যোগ্য কারো হক নষ্ট করবেন না। জীবনের সব ধাপে কিন্তু এই কোটা সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই পরিশ্রম করে নিজ যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মত করে সন্তানকে গড়ে তুলুন।’
দেশ পরিবর্তন করতে চাইলে সবার আগে নিজে পরিবর্তন হতে হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘পরিবর্তন আনতে হরে নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, নিজের দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে।’
সর্বশেষ চার লাইনের স্লোগানে তিনি বলেন, পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক। পোষ্য কোটার দিন শেষ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ।