সেই ভাইরাল প্রধান শিক্ষক আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণ | স্কুল নিউজ

সেই ভাইরাল প্রধান শিক্ষক আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণ

‘মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের বনপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।’

#শিক্ষক #ভাইরাল

আকরাম হোসেন। ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমআকরাম হোসেন। ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে করে অস্বীকারের পর ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। তার গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মিষ্টি বিতরণ করেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২ মে) মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, ‘মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের বনপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।’

জানা গেছে, আটককৃত প্রধান শিক্ষক আকরাম উপজেলার হাজীগোবিন্দপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে। এর আগেও তিনি দুটি বিয়ে করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন, ময়েজ উদ্দিন ও সিদ্দিকুর রহমানসহ আরও অনেকে বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। এই ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।’

সেই ভাইরাল প্রধান শিক্ষক আটকের খবরে মিষ্টি বিতরণ

তারা আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের এসব কুকীর্তির ঘটনায় এলাকার লোকজন মান্দা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। এই সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারসহ এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরদিন ২৮ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এই মামলায় তাকে ২৯ এপ্রিল আটক করা হলে, সেই আনন্দে আমরা মিষ্টি বিতরণ করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা এমদাদুল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমাদের এলাকার মুনসুর কাজীর সহযোগী আলম এসে বিয়ে রেজিস্ট্রার করে আমাকে যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলে, সেখানে আমি স্বাক্ষর দেই। এরপর আমি কয়েকবার তার কাছে গিয়ে বিয়ের নকল চাইলে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে আমাকে নকল দেননি। এরমধ্যে স্থানীয়দের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ডাকলে, বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমার মেয়েকে বিয়ে দিইনি বলতে বাধ্য করে। আমার মেয়েকে যদি বিয়ে না করে, তাহলে সে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।’

প্রসঙ্গত, নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । সহযোগী হিসেবে মামলায় তার প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আকরাম হোসেনের তৃতীয় বিয়ের খবর জানার পর দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা আক্তার পুতুল।

#শিক্ষক #ভাইরাল