ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে পিটুনি দিয়েছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ওই শিক্ষকের নাম রক্তিম শর্মা। তিনি বোরহানউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক। একই সঙ্গে তাঁর একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দোকান রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলা শহরের হাওলাদার মার্কেট এলাকায় শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে রক্তিম শর্মাকে তার এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে মারধর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, রক্তিম শর্মার বিরুদ্ধে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিকর খুদেবার্তা (মেসেজ) দেওয়া, শ্লীলতাহানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে তাঁর কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে এক ছাত্রীর সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে আটকে রাখেন স্থানীয় লোকজন।
একপর্যায়ে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পরানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
বাবুল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রক্তিম শর্মা ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে কাচিয়া ইসলামিয়া দাখিল কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
তখন সেই মাদরাসার ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি বিদেশে চলে যান।
সেখান থেকে ফিরে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে বোরহানউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যোগ দেন।
জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘রক্তিম শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি।
এ ব্যাপারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঘটনার পর রক্তিম শর্মা পুলিশের হেফাজতে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রক্তিম শর্মা নামের এক শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে আছেন।
তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার অভিযোগ শুনেছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’