অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার ফল আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই প্রকাশ হতে পারে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে চান শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান-বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। ফল প্রকাশের কাজ চলমান রয়েছে। ঈদের আগে ফল প্রকাশ করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কবে নাগাদ অষ্টাদশের ফল প্রকাশ করা হতে পারে তা জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এমএম রিজওয়ানুল হক দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের এক পারসেন্টও যেনো এরর না থাকে আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু ফল প্রকাশের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে তাই এখনই বলা যাচ্ছে না কবে নাগাদ ফল প্রকাশ হতে পারে।
জানা যায়, শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের প্রতিদিনের এন্ট্রি প্রতিদিনই সম্পন্ন করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঈদের আগেই প্রকাশিত হতে পারে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার ফল।
এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মৌখিক পরীক্ষা চলতি মাসের ৩১ মে শেষ হতে যাচ্ছে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ অক্টোবর অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গড় পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ১৫ মার্চ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১৫ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ছিল ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।