শিক্ষক নিবন্ধন: সনদের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ফেল করা প্রার্থীদের অবস্থান | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

শিক্ষক নিবন্ধন: সনদের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ফেল করা প্রার্থীদের অবস্থান

‘ফেল করা’ প্রার্থীরা তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে ই-সনদ দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষার্থী

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘এন্ট্রি লেভেলের’ শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাইয়ে অনুষ্ঠিত অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে ‘অনুত্তীর্ণ’ বা ‘ফেল করা’ প্রার্থীরা তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে ই-সনদ দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে, রোববার সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করলে জলকামানের পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। গতকাল পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তারা সড়কের দুইপাশেই অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ করেছিলাম, তাদের প্রতিনিধি সচিবালয়ে পাঠিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা অবস্থান অব্যাহত রাখে। তারা চেয়েছিল রাস্তা বন্ধ করে রাখবে, পরে উপদেষ্টা এসে তাদের সঙ্গে দেখা করবে। বার বার অনুরোধ করার পরেও তারা সড়ক না ছাড়ায় আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় ভালো করলেও তাদের ‘ফেল করানো হয়েছে’। তাই তারা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দাবি করছেন।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বার বার সড়কে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায় বসার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী। গত ৪ জুন চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলে তাদের মধ্য থেকে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ। এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

#শিক্ষক নিবন্ধন #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষার্থী