তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ এবং উপাচার্যের অপসারণ দাবিকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)।
কর্মসূচি থেকে উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হলে ক্লাসে না ফেরার কথা বলছেন শিক্ষকরা।
বুধবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে জড়ো হন কিছু শিক্ষার্থী। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
অন্যদিকে দুপুরে ‘কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃক উপাচার্যকে হয়রানি ও তাকে অপসারণের অপচেষ্টার’ প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন কুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসময় অধ্যাপক ড. এম এম এ হাশেম বলেন, ‘ছাত্ররা তালা ভেঙে হলে ঢুকে আইন লঙ্ঘন করেছে। কারণ তালা দেওয়া হয়েছিল সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।’
অধ্যাপক ড. সালাউদ্দিন ইউসুফ বলেছেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের দিন উপাচার্যের গায়ে ছাত্রদের হাত তোলা ঠিক হয়নি।’
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যেসব ছাত্র দোষী সাব্যস্ত হবে, তারা শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ক্লাসে ফিরে যাবো না।’
উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। এরপর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে কুয়েটের আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।