ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষকরা। তারা বলছেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সব ইবতেদায়ি মাদরাসা দ্রুতই জাতীয়করণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানান মাদরাসা শিক্ষকরা। বৈঠকে সব পর্যায়ের ইবতেদায়ি মাদরাসার তালিকা তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমরা অবহিত করতে চাই, দেশ স্বাধীনের পর থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও দেয়ার ব্যাপারে কোনো বিধি-নিয়ম চালু ছিলো না এবং এখনো নেই। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে অনুদান থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে আরো কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে একইভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা সব ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন জাতীয়করণের জন্য কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি।
শিক্ষকদের দেয়া প্রস্তাবনাগুলো হলো: অনুদানভুক্ত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় ১ হাজার ৫১৯টি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ। অনুদানবিহীন স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনভুক্ত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় রেজিস্ট্রেশন কোডভুক্ত ৫ হাজার ৪৭৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ। অনুদানবিহীন অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনভুক্ত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রেজিস্ট্রেশনভুক্ত কোডবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. সামছুল আলম। সভাপতিত্ব করেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সভাপতি কাজী মুখলেছুর রহমান।
প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাসুদুল হক। তিনি বলেন শিক্ষকদের এই তিন প্রস্তাবনাসহ পাঁচটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ফাইল ফেরত পাওয়ার পরে বোঝা যাবে কোনটা কীভাবে আগাবো। তার মধ্যে প্রথম দফায় আপনারা ১ হাজার ৫১৯টির কথা বলেছেন এটা হলো এই মাদরাসাগুলো মোটামুটি ঠিক আছে, তাদের শিক্ষক-ছাত্রের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠান। একটা ডটাবেইজ যেহেতু আছে, তারা যেহেতু ভাতা পাচ্ছেন। সেজন্য তাদের বিষয়টা দেখা হচ্ছে।