ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি প্রধান নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএ বা অন্য কমিশন গঠনসহ ১১ দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা সমিতির নেতারা।
বেসরকারি অনার্স ও মাস্টার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ করা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তসহ নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে এমপিওভুক্তিরও দাবি জানান তারা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, নানা ধরনের শিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমাজ, মধ্যযুগীয় পশ্চাৎপদতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে সমাজমানস।
এজন্য শিক্ষকদের ওপর সম্প্রতি নজিরবিহীন হামলা, লাঞ্ছনা ও হয়রানি শুরু হয়েছে।
তারা আরো বলেন, মব জাস্টিসের কারণে সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের দ্রুত পুনর্বাসন। এই অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার এবং 'মব জাস্টিস' বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
মুক্তবুদ্ধি ও সংস্কৃতিবিচ্ছিন্ন শিক্ষার পরিণাম হলো আজকের শিক্ষা পরিস্থিতি। বাকবিশিস এ অবস্থার অবসান চায়।
বিজ্ঞানমনস্ক, অসাম্প্রদায়িক, একমুখী, সর্বজনীন শিক্ষানীতির জন্য বাকবিশিস বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী আমাদের মহান অগ্রজ শহিদগণ প্রচলিত পশ্চাৎপদ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য জীবন বিসর্জন দেননি।
শিক্ষার নামে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও সামাজিক ঘৃণার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বর্তমানের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ জীবন দেননি।
বাকবিশিস আপামর শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষকদের বাঁচার দাবির পাশাপাশি উন্নত শিক্ষা ও জ্ঞানের মুক্ত প্রবাহের পরিবেশ তথা শিক্ষার সংগ্রাম গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই।