কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা স্কুলে গেলেও নেননি ক্লাস | স্কুল নিউজ

কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা স্কুলে গেলেও নেননি ক্লাস

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা গতকাল সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাঁরা বিদ্যালয়ে গেলেও পাঠদান করেননি।

#স্কুল #শিক্ষক #কর্মবিরতি #সহকারী শিক্ষক

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এদিন তারা স্কুলে গেলেও নেননি কোনো ক্লাস।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গতকাল পূর্বঘোষিত এ কর্মবিরতি শুরু হয়।

মোর্চাভুক্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা স্কুলে এসেছি। শিক্ষার্থীরাও এসেছে। তবে ক্লাস চলছে না। শিক্ষকেরা স্কুলেই অবস্থান করছি।

তিনি দাবি করেন, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।

আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে ১১তম গ্রেডে বেতনের প্রস্তাব পাঠানোর কথাও বলেছেন। তবে তাঁরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকেরা এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

এই তিন দাবি আদায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

#স্কুল #শিক্ষক #কর্মবিরতি #সহকারী শিক্ষক