ছবি : সংগৃহীত
আটকা পড়েছে দুই মাসের বেতন ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা। অধ্যক্ষ না থাকায় অনিশ্চয়তায় ভুগছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিধি অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পাবেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব, তবে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সৈয়দা নার্গিস ফারজানার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাই দায়িত্ব পান দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ইমাম হাসান।
এবার শিক্ষক-কর্মচারীরা ভেবেছিলেন বিপত্তি কেটে গেছে। তবে ইমাম হাসানের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় তিনিও বেতন-ভাতা ছাড় করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের ৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারী পড়ছেন মহা বিপত্তিতে।বেতন ও উৎসব ভাতা না পেলে তাদের এবারের ঈদুল আজহা মলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সমস্যা নিরসনে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার আঞ্চলিক পরিচালকের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মো. আজহারুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের বেতন-উৎসব ভাতা ঈদের আগে হবে কিনা সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। ওনারা এসে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
কলেজেটির শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, কলেজে ৪ জন খণ্ডকালীনসহ ৩৯ জন শিক্ষক ও ১৫ জন খণ্ডকালীনসহ ২২ জন কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন। গত ১৪ এপ্রিল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী অবসরে যান। এতে অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হয়। বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ১ম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু কলেজের ১ম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সৈয়দা নার্গিস ফারজানার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ১ম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সৈয়দা নার্গিস ফারজানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কলেজের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে ইমাম হাসানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা না থাকায় বেতন-ভাতার অনুমোদন আটকে রয়েছে। ফলে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দুই মাসের বেতন ও ঈদুল আজহার ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
কলেজের হিসাবরক্ষক শিপার আহমেদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বেতন ও উৎসব ভাতা নিয়ে জটিলতা নিরসনের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি। অধ্যক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলমান সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য অপেক্ষায় আছি।
কলেজের ১ম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সৈয়দা নার্গিস ফারজানা বলেন, বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ও একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হাসান বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। অচিরেই হয়ে যাবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।