জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি শিক্ষকদের | স্কুল নিউজ

জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি শিক্ষকদের

`রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই বিদ্যালয়গুলো বাদ রেখে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার অন্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। তাই আমাদের দাবি মানতে হবে।'

#জাতীয়করণ #প্রাথমিক বিদ্যালয় #স্কুল #প্রধান উপদেষ্টা #শিক্ষক

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিজাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

জাতীয়করণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই বিদ্যালয়গুলো বাদ রেখে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার অন্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। তাই আমাদের দাবি মানতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দেন শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তাদের সব ডকুমেন্ট রেডি করতে। এরপর তাদের সঙ্গে সুবিধা মত সময়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কি করা যায় সে ব্যাপারে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর আগে দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা বলেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সরকার সারাদেশে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তবে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে গেজেট দিয়ে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে-র আগে সারাদেশে ২ হাজার ৭৪৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেই সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ১ হাজার ৩০০টি বিদ্যালয় বাদ রেখে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। সব শর্ত পূরণ করা ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীকরণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাছাই টাস্কফোর্স কমিটি জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় যা এখনো মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে। এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে ২০১৮ খ্রিষ্টোব্দে ১৮ দিন আন্দোলনের সময়ে তৎকালীন সচিব আকরাম আল হোসেন ও মহাপরিচালক মঞ্জুর কাদির আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে ২ মাসের মধ্যে জাতীয়করণ করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এরপর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য চিঠি দেন, যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিধায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৫৬ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। এর ঠিক এক বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের গণভবন থেকে নিয়োগ পাওয়া সচিব আকরাম আল হোসেন ক্ষমতা অপব্যবহার করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। গত ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২০ আগস্ট বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে এবং ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর ও ১১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে জাতীয়করণ দাবিতে সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষকরা আন্দোলন করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৬ সেপ্টেম্বর ফের সেই একই চিঠি ইস্যু করেন।

এমন পরিস্থিতিতে উল্লিখিত কারণগুলো বিবেচনায় এনে ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্দোলন করলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠানো হয়। চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ দিন এই জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষকরা আন্দোলন করার পর ২৮ থেকে ২৯ এপ্রিল ২য় দিনেরমত অবস্থান করছি। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন ৩য় ধাপের জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া ১ হাজার ৩০০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।

#জাতীয়করণ #প্রাথমিক বিদ্যালয় #স্কুল #প্রধান উপদেষ্টা #শিক্ষক