আরো ৪২০ শিক্ষক পাচ্ছেন কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা | স্কুল নিউজ

আরো ৪২০ শিক্ষক পাচ্ছেন কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর কল্যাণ ট্রাস্টের ৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অনুমোদনের আলোকে মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ, মৃত ও কন্যাদান শিক্ষক-কর্মচারীদের জমাকরা আবেদনগুলো অডিট কর্মকর্তারা নিরীক্ষার পর তাদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে ইএফটি'র মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

#শিক্ষক #কল্যাণ তববিল #শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট #কর্মচারী #ইএফটি

আরো ৪২০ জনকে শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এজন্য অনুমোদিত আবেদনের ভিত্তিতে লট ভিত্তিক টাকা ছাড়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ, মৃত ও কন্যাদায়গগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টাকা দেয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে ইএফটির মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর কল্যাণ ট্রাস্টের ৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অনুমোদনের আলোকে মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ, মৃত ও কন্যাদান শিক্ষক-কর্মচারীদের জমাকরা আবেদনগুলো অডিট কর্মকর্তারা নিরীক্ষার পর তাদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে ইএফটি'র মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বমোট ৪২০টি আবেদনের বিপরীতে ৩৩ কোটি ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৬ টাকা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার টাকা তাদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে ইএফটিতে পাঠানোর অনুমতির প্রস্তাব দেয়া হয়।

একসঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্টে টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে ইফটির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অসচ্ছল শিক্ষকদের জমানো টাকা লুট করতেন সাবেক শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী

অবসরে যাওয়ার পর এককালীন কিছু আর্থিক সুবিধা পান বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আর এই সুবিধা পেতে চাকরিকালীন তাদের প্রতি মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) থেকে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে যথাক্রমে ৬ ও ৪ শতাংশ করে টাকা কেটে রাখা হয়। বিধান অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতিমাসের এমপিও থেকে চাঁদা বাবদ কর্তন করা কোটি কোটি টাকা জমা থাকার কথা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে। সেখান থেকে সুদ পাওয়া যায়। ফলে জমা টাকার মূলধন বাড়ে।

পদাধিকার বলে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি শিক্ষাসচিব। আর ২১ সদস্যের কমিটির দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হলেন সচিব। যিনি মূলত কোনো এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। গতকাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাসচিব ছিলেন।

ওই সময়ে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন হিসেবে জমানো প্রায় সাতশ কোটি টাকার ৯৯ শতাংশ তুলে বিভিন্ন বেসরকারি নতুন ও রুগ্ন ব্যাংকে রাখেন। যদিও অর্থ বিভাগের নির্দেশ ২৫ শতাংশের বেশি বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যাবে না। কিন্তু, একেবারে নতুন অথবা রুগ্ন ব্যাংকে টাকার রাখায় ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন কামাল চৌধুরী। সোনালী ব্যাংক থেকে বারবার তাগাদা দিলেও তাতে পাত্তা দেননি তখনকার দাপুটে শিক্ষাসচিব।

আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, রুগ্ন ব্যাংকগুলোকে সবল করতে গিয়ে শিক্ষকদের টাকাগুলো আটকে রাখা হয়। বলা হয় ফান্ড নেই। তাতে বঞ্চিত হন বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। অবসরের পর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা পান না তারা।

সোনালী ব্যাংক থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সচিবদের কাছে পাঠানো চিঠির কপি আমাদের বার্তার হাতে রয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনায় পরিদৃষ্ট হয় যে, অত্র ব্যাংক কর্তৃক বেসরকারী ব্যাংকের অনুরূপ সুদ হার প্রদানের পরও উক্ত প্রতিষ্ঠানদ্বয় কর্তৃক অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যম হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে পূর্বাপর বেসরকারি ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে যা খুবই দুঃখজনক।’

উল্লেখ্য, অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থবিভাগ বাজেট অধিশাখা -১১ এর ১৫-২-২০১২ তারিখের নং-০৭.১১১.০৩১.০০.০৫২.২০১২৬৯ সংখ্যক পত্রের ১(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে যে, পাঁচ বা ততোধিক বছর বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবসায় নিয়োজিত বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি, আধা- সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা তাদের মোট নিজস্ব আমানতের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অর্থ জমা রাখতে পারবে।

ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার কাজী তসলিমা বানু স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরো বলা হয়, এ প্রেক্ষিতে তহবিল সংরক্ষণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাদের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সরকার কর্তৃক এককালীন প্রদানকৃত টাকাসহ মাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় তহবিল অত্র ব্যাংকে সংরক্ষণের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোন সেবা প্রদানে শতভাগ সক্ষম সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ও অত্র ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ থেকে সরকারি নীতিমালার বাইরে বেসরকারি ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের একান্ত আবশ্যকতা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং অর্থ বিভাগ বাজেট শাখা-১১ এর অনুমোদন সম্মতিপত্রসহ অর্থ স্থানান্তর বিষয়ক চেক/অনুরোধপত্র প্রেরণ করার জন্য আপনাদেরকে সবিনয় অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক #কল্যাণ তববিল #শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট #কর্মচারী #ইএফটি