এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ভাইভা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছেন। যেমন, উনি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করার কারণে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি রেজাল্টের আগেই ডিএমপি কমিশনারের কাছে পুলিশ সাপোর্ট চেয়েছে। চার তারিখে রেজাল্টের পরে সব অফিস আদালত বন্ধ করার কারণে উনি চার তারিখে রেজাল্ট দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা হাঙ্গামা না করতে পারে। তিনি সরকারি ছুটির পরে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন যাতে চাকরি প্রার্থীরা তার সঙ্গে কথা বলতে না পারে।

#এনটিআরসিএ #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #ফল #সংবাদ সম্মেলন #press conference

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা। চেয়ারম্যানকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে তারা বলেছেন, সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন এনটিআরসিএর পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণরা।

তারা বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল গত ৪ জুন প্রকাশ করা হয়। এতে ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ফেল করা প্রার্থীরা। তারা বলছেন, বোর্ডভেদে বৈষম্য করা হয়েছে। যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। চেয়ারম্যান একজন অতিরিক্ত সচিব। তিনি প্রার্থীদের সঙ্গে সভা করে বলেছিলেন যে, বয়সের কারণে কাউকে ভাইভায় ফেল করানো হবে না। কিন্তু আমাদেরকে ফেল করিয়েছেন, এখন তিনি আমাদের ফোন রিসিভ করেন না। আমরা তার গ্রামের বাড়ী ঘেরাও করে কৈফিয়ত চাইবো।

ফেল করা প্রার্থীরা আরো বলেন, আমরা যারা ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে। যদি না দেয় তাহলে ১৫ তারিখ থেকে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না। আপনারা লক্ষ্য করবেন ভাইভা বোর্ডে এমনও বোর্ড আছে যেখানে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে, একজনকে পাস করানো হয়েছে। ৩০ জনের মধ্যে আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে।

অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। তাহলে একধারে এত ফেল করানোর মানে কি? অবশ্যই এনটিআরসি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়েছে। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মফিজুর রহমান এই বৈষম্য করেছে। আমরা একটা বিষয়ে ক্লিয়ার এনটিআরসি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দোসর। কারণ এরা আওয়ামী লীগের সিলেক্টকরা সচিব ও উপসচিব।

তাই আমরা আওয়ামী লীগের দোসরদের শাস্তি দাবি করছি। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ভাইভা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছেন। যেমন, উনি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করার কারণে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি রেজাল্টের আগেই ডিএমপি কমিশনারের কাছে পুলিশ সাপোর্ট চেয়েছে। চার তারিখে রেজাল্টের পরে সব অফিস আদালত বন্ধ করার কারণে উনি চার তারিখে রেজাল্ট দিয়েছেন। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা হাঙ্গামা না করতে পারে। তিনি সরকারি ছুটির পরে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন যাতে চাকরি প্রার্থীরা তার সঙ্গে কথা বলতে না পারে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে কীভাবে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন। আমরা এই এনটিআরসি চেয়ারম্যানের পদত্যগ দাবি করছি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।

বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#এনটিআরসিএ #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #ফল #সংবাদ সম্মেলন #press conference