কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে ঢাকা অঞ্চলের ডাবল শিফট ও একক শিফটের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খানের মৌখিক আশ্বাসের পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। শিক্ষকরা বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ফের আন্দোলন শুরু হবে।
সোমবার দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে তারা তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষকরা মানবন্ধন করে। দুপুরে তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে ডাকা হয়। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান শিক্ষকদের আশ্বাস দিলে তারা আজকের মতো কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করা হবে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
শিক্ষকরা বলছেন, ঢাকা শহরের মত ব্যয়বহুল স্থানে পরিবার পরিজন নিয়ে বিনা বেতনে দীর্ঘ সাত মাস যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য অতিসত্তর ডিজি দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিক্ষকরা আরো বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃক সর্বশেষ প্রকাশিত ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা অঞ্চলের ডাবল শিফট ও একক শিফটের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২২ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। আমরা গত অক্টোবরে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলে এমপিও প্রাপ্তির জন্য আবেদন করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত আমাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে আমাদের ফাইল ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমরা ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালক কার্যালয়ে ফাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কথার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে বলেন, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন বলে জানান।
আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগদান করে অন্য বিভাগের ডাবল শিফট এবং একক শিফটের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তাদেরকে ইএফটিতে নিয়মিতভাবে বেতন দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের (ডিডি) কাছে পরবর্তীতে ফাইলের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে তিনি আমাদেরকে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করেননি এবং তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আমাদেরকে রুম থেকে বের করে দেন। অনেককে তিনি তার রুমে প্রবেশ পর্যন্ত করতে দেননি। তাই আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই।