ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
পিরোজপুরের নেছারাবাদে এমপিওভুক্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষের পদ নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে ১৬ বছর ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। মামলাজটে পড়ে কলেজটি এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত কলেজ খুলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ফের পাঠদান চালুর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ঝিলবাড়ীতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নামে কলেজটি স্থাপন করেন স্থানীয়রা। তখন স্থানীয় মো. কামরুজ্জামান নিজেকে কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের উদ্যোগ নেন। তখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তার বিএ পাস কোর্সের সনদ যাচাই-বাছাইয়ে তা জাল প্রমাণিত হয়। পরে জাল সনদের জন্য তিনি ১৫ দিন কারাভোগ করেন। এ সময় তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটি এমপিওভুক্ত করান।
এর কিছু দিন পর কামরুজ্জামান পুনরায় জোর করে প্রতিষ্ঠানটি তার দখলে নিয়ে নেন। পরে আসাদুজ্জামান আদালতে মামলা করে অধ্যক্ষের পদ ফিরে পান। কামরুজ্জামান ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় মামলাজটে শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজের দাতা সদস্য মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মো. কামরুজ্জামান আওয়ামীপন্থি কিছু শিক্ষক ও অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের নাম দেখিয়ে কলেজ চালিয়েছিলো। তবে কোনোকালেও এ কলেজে কোনো পাঠদান হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ১৬ বছর ধরে এমপিওভুক্ত হলেও কলেজে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক দেখিনি। কামরুজ্জামান ও তার ভাই আসাদুজ্জামানের মামলার জটে কলেজটি এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, আমার ভাই কামরুজ্জামান বিএ পাসের ভুয়া সনদ দেখিয়ে অধ্যক্ষ হতে চেয়েছিলো। জাল সনদ ধরা পড়ে সে ১৫ দিন জেল খেটেছিলো। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বাহিনী নিয়ে কলেজটি দখলে নেয়। পরে ভুয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী দেখিয়ে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে চেয়েছিলো। সে নিয়োগের কথা বলে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা আছে। তারা দুজনই কলেজটির অধ্যক্ষ হতে চান। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে দুজনের মধ্যে যার অধ্যক্ষ হওয়ার প্রমাণপত্র আছে, তাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে এবং অপরজনকে চুক্তিভিত্তিক সহকারী শিক্ষক হয়ে কলেজ চালুর জন্য বলে দিয়েছি। এখন কেউ কথা না শুনলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।