ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের দশ সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ফ্যাসিস্টের দোসর। তাই তিনি ফেল করিয়েছেন। এই শিক্ষক নিবন্ধনের ফল পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
রোববার দুপুরে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণদের বিকেল পর্যন্ত আলটিমেটাম
জানা গেছে, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল গত ৪ জুন প্রকাশ করা হয়। এতে ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ফেল করা প্রার্থীরা।
এদিকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত দাবি মানার সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে দাবি না মানলে তারা সড়কে বসে পড়বেন। একই সঙ্গে বেলা ৩টার পর এনটিআরসিএ কার্যালয়ে প্রবেশ করবেন।
এর আগে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে (এনটিআরসিএ)। আজকের মধ্যেই স্মারকলিপিটি শিক্ষাসচিবের দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। স্মারকলিপি দিতে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষক নিবন্ধন অফিসে প্রবেশ করেন।
স্মারকলিপিতে তারা বলেছেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতির সাথে ভাইভায় উত্তর প্রদান করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, চূড়ান্ত ফলাফলে আমাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে, যা আমাদের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত।
তারা আরো দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিধি ৯ এর উপ-বিধি২ (গ) অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস বলে গণ্য হবেন। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েই একজন পরীক্ষার্থী ভাইভার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আর ভাইভার ২০ মার্কসের মধ্যে ১২ নম্বর হচ্ছে একাডেমিক রেজাল্ট। বাকি ৮ মার্কস ড্রেসকোড, আচরণ এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা যার মধ্যে ৩.২ নম্বর পেলেই পাস। তাদের দাবি তাদের অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও ফেল করেছেন। যেটা ভাইভা বোর্ডের মনগড়া সিদ্ধান্ত ছিলো যা অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থীর মনে দাগ কেটেছে।
অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবি, এই বছর লিখিত পরীক্ষা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কঠিন ছিলো এবং প্রশ্নের মধ্যে কোনো বিকল্প অপশনও ছিল না। বিগত পরীক্ষাগুলোর সাথে এবারের পরীক্ষার এই ধরনের বিস্তর তারতম্য ফলাফলের নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এমতাবস্থায়, ফলাফল প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অসংগতি হয়েছে কি না, তা নিরূপণের জন্য আমরা ফলাফলটি পুনঃবিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ব্যবস্থাপনায় গত বছরের ১২ ও ১৩ জুলাই অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজর ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো।
সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।