শিক্ষক নিয়োগ: বয়স ও সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

শিক্ষক নিয়োগ: বয়স ও সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের

বয়স ও সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণতার নিয়ে যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের

#শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষক নিবন্ধনে বয়স ও সনদের মেয়াদ পার হওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে একটি মামলার রিভিউ পেন্ডিং থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে।

প্রার্থীদের সনদের মেয়াদ তিন বছর। সে হিসেবে ১ থেকে ১৬তমরা আবেদন করতে পারবেন না। আর ১৭তমদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ ঊর্ধ্ব তারাও আবেদন করতে পারবে না।

রোববার (১ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিকেলে বয়স ও সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এর প্রতিনিধিসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বয়স ও সনদের মেয়াদ অপ্রাপ্যতার কারণে আবেদন করতে না পারা প্রার্থীরা মার্চ টু সচিবালয়, এনটিআরসিএ ঘেরাও ও শিক্ষা ভবনের সামনে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে এবার সভা আহ্বান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে সর্বশেষ গত ২১ মে নিয়োগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদন বঞ্চিতরা। তাদের দাবি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ১৭টি নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনটিআরসিএ এক বছরের পরীক্ষা ৪ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত করার ফলে ১৭তম নিবন্ধনে ৭৩৯ জন ৩৫ ঊর্ধ্বে হওয়ায় পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেননি।

জানা যায়, ১৭তম ব্যাচের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে করোনা মহামারি ও এনটিআরসিএ দাপ্তরিক কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত মোট ৪ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর।

এমন পরিস্থিতিতে ১৭তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের জ্যন পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই সময়ক্ষেপণের (যা ৭৩৯ জন আওতার বাইরে ছিল) বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়নি। অথচ সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকা সত্ত্বেও একবার আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়নি তাদের-এমন দাবি করে আসছেন বঞ্চিতরা।

অপরদিকে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে চালু হয় নিবন্ধন পরীক্ষা। সেই থেকে ১২তম অবধি পরীক্ষাগুলো ছিলো একই গুরুত্বের। এই প্রথম থেকে ১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা শিক্ষকতায় বা অন্য কোনো চাকরিতে যেতে পারেননি তাদের একাধিক পক্ষ তৈরি হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলো।

গত কয়েকবছরে তারা আবেদনের দাবি জানিয়ে আসিছিলেন। তবে এ ব্যাপারে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএর) কোনো সাড়া মেলেনি।

এ ব্যাপারে যুক্তি হলো, ১ থেকে ১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা নিয়োগের জন্য প্রাক-যোগ্যতার সনদ পেয়েছিলেন, নিয়োগের সুপারিশের জন্য নয়। নিয়োগে পেতে হলে, তখন কমিটির নেয়া নিয়োগ পরীক্ষায় উতরাতে হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরের গেজেট জারির পর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা শুধু সরাসরি নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাওয়ার যোগ্য, যদি বয়স ও সনদের মেয়াদ থাকে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষা মন্ত্রণালয়