হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছয়টি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে শেখ সায়েরা খাতুন হলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বিজয় ২৪ হল, তাজউদ্দীন আহমদ হলের নাম শহীদ আবরার ফাহাদ হল, শেখ রাসেল হলের নাম শহীদ নূর হোসেন হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বেগম রোকেয়া হল, আইভি রহমান হলের নাম নবাব ফয়জুন্নেছা হল এবং ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনের নাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভবন করা হয়েছে।
তবে নামকরণের প্রস্তাবটি খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সম্মতি সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে বলে অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯তম রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল ও ভবনের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি গুগল ফরম তৈরি করে সবার মধ্যে তা প্রচারসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে এসব হল ও ভবনের নাম পরিবর্তন করে অনুমোদন দিয়ে সুপারিশের জন্য রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হলে রিজেন্ট বোর্ড তা অনুমোদন করে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব হল ও ভবনের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড তা অনুমোদন করে। শেখ সায়েরা খাতুন হলের নাম খালেদা জিয়া রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোনো আপত্তি না থাকলে ওই হলের নাম খালেদা জিয়ার নামেই হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।