সকাল ৯ টা। বরিশাল নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনেটা সুনশান। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কেবল অফিস সহায়ক ও গাড়িচালককে ঢুকতে দেখা গেলো। কোনো কর্মকর্তার দর্শন পাওয়া গেলো না। মঙ্গলবারের চিত্র এটি।
নিচতলায় সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোছা. দেলোয়ারা বেগম ও মোছা. সালমা পারভীনের অফিস কক্ষের দরজা আটকানো। পাশে অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কক্ষ খোলা থাকলেও অফিস সহায়ক আবুল কালাম ছাড়া আর কারো টিকিটিও খুঁজে পাওয়া গেলো না। যদিও কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের পক্ষে তার জোর সাফাই, সবাই দ্রুত অফিসে চলে আসবেন। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সবাই অফিসে চলে আসেন। কোনো সমস্যা নেই।
তাহলে আজ কেনো নেই? অফিস শুরু কি সাড়ে নয়টা, নাকি নয়টা থেকে? যথাসময়ে অফিসে হাজির হওয়ার সরাকরি নির্দেশ কেনো মানা হচ্ছে না? কোনো প্রশ্নেরই সদুত্তর পাওয়া গেলো না।
দ্বিতীয়তলাতেও দেখা গেলো, একই চিত্র। পোগ্রামার মামুনুর রহমানের কক্ষ বন্ধ। উপপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ আর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কক্ষও তথৈবচ। তবে উপপরিচালকের কক্ষের পাশের একটি রুমে পাওয়া গেলো অফিস সহায়ক জাহিদুল ইসলামকে।
তিনিও বলেন, সবাই খুব দ্রুত চলে আসবেন।
তৃতীয়তলায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর অফিসের পরিচালক ওমর ফারুকের কক্ষও বন্ধ। তাকে বাসা থেকে আনতে অফিস থেকে বের হলেন গাড়িচালক কামাল হোসেন।
তিনি বললেন, স্যার সকাল ১০টার মধ্যে অফিসে থাকেন। তার আরেকটি গাড়ি তদন্তের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। গাড়ি না-থাকলে স্যার ঠিক সময়ে অফিসে আসবেন কী করে!
পরে পরিচালক ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, শুক্র ও শনিবার দুইদিন এমপিও নিয়ে কাজ করে অফিসের সবাই ক্লান্ত। রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সবাই কাজ করেছেন। এ কারণে আজকে সবাই দেরিতে আসছেন। রোজার মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত সবাই কাজ করে ক্লান্ত ছিলেন।
এই অফিস পরিসীমাতেই মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড অফিস। নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত পাওয়া গেলো মাত্র দুজন কর্মচারীকে।