‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে’ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে’

‘শিক্ষার্থীরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে নতুন করে মুক্ত করেছে। এখন আমাদেরকে একটি শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।’

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন । বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। সিটি মেয়র আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে নতুন করে মুক্ত করেছে। এখন আমাদেরকে একটি শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।’

অনুষ্ঠানে মেয়রকে ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে মেয়র সিভাসু’র এনাটমি ও ফিশারিজ মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।

বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল-বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সশস্ত্র সালাম, স্মারক বৃক্ষরোপণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোকসজ্জা।

দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। এ সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্যের পর বিভিন্ন অনুষদ, আবাসিক হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এরপর একে একে পালন করা হয় বিজয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূচিসমূহ।

বিজয় দিবসের কর্মসূচিগুলোতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।