মাদরাসায় চলে যাওয়ায় পরীক্ষার্থী কমছে স্কুলে | স্কুল নিউজ

মাদরাসায় চলে যাওয়ায় পরীক্ষার্থী কমছে স্কুলে

‘অন্যায়ভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে না। কারো অন্যায় আবদারও মেনে নেয়া হবে না।’

#পরীক্ষার্থী #মাদরাসা #স্কুল #বরিশাল শিক্ষা বোর্ড

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেছেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মাদরাসার দিকে ধাবিত হওয়ায় স্কুলগুলোতে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। ফলে শিক্ষা বোর্ডের আয়ও কমেছে।

শনিবার সকালে পটুয়াখালীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত পটুয়াখালী জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি তদবিরবাজদের হুঁশিয়ার করে বলেন, অন্যায়ভাবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে না। কারো অন্যায় আবদারও মেনে নেয়া হবে না।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা যদি ফাইল আটকে রাখে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে-সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু আমাকে আপনারা জানাবেন। যদি ব্যবস্থা না নিই তাহলে আমিই চলে যাবো।

ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

তিনি বলেন, এখনো কিছু স্কুল অ্যাডহক কমিটি নিয়ে জটিলতা কাটাতে পারেনি। কমিটির জটিলতা কাটাতে আমার দপ্তরে আপনারা আসবেন। আমি আপনাদের সহযোগিতা করবো। ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে শিগগিরিই নতুন নির্দেশনা আসছে। আশা করি এই সমস্যা কেটে যাবে।

চেয়ারম্যান বলেন, শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এবার গণিত ও ইংরেজিতে বেশি ফেল। তাই শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্যারদের এই বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন শিক্ষকরা। এ সময় সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

সভায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাজিমুল হক, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম খান, উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক হাসান মাহমুদ, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. কামরুজ্জামান কামাল, উপ সচিব মো. আবুল বাসার ও শিক্ষা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ২৬০ জন প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, অনেক সময় কমিটির সভাপতি কম শিক্ষার্থী থাকলেও অনুমতি নিয়ে নেন। এটা আর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে হতে দেয়া যাবে না। আগামীতে এসএসসি এবং এইচএসসির কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব যাচাই করা হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, আমাদের শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আগে বেশি ছিলো। এবার কমেছে। পরীক্ষা দিয়েছেন ৮২ হাজার।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা, কোনো অনুমতি নিতে হবে না।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বুকের তাজা রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।

শিক্ষকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খাতা মূল্যায়নের সম্মানী নিয়ে আলোচনা করা হবে। সম্মানীর পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে এই সম্মানী যাতে দ্রুত দেয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#পরীক্ষার্থী #মাদরাসা #স্কুল #বরিশাল শিক্ষা বোর্ড