বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে: মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান | মাদরাসা নিউজ

বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে: মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

চেয়ারম্যান মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বোর্ডের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ইবতেদায়ি ও সিনিয়র মাদরাসাগুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন অবহেলিত ছিলো, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে।

#মাদরাসা #শিক্ষাব্যবস্থা # ইবতেদায়ি মাদরাসা

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নূরুল হক বলেছেন, বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন আমরা স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীরা যা লিখবেন, শিক্ষকরা কেবল সেটাই মূল্যায়ন করবেন। অতিরিক্ত বা কম নম্বর দেয়ার সুযোগ থাকবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষা সুষ্ঠ ও নকলমুক্ত পরিবেশে করতে জয়পুরহাট-১ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ ও সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জয়পুরহাট সিদ্দিকীয়া কামিল মডেল মাদরাসার সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট সিদ্দিকীয়া কামিল মডেল মাদারসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন। বক্তব্য দেন হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম, কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সরকারসহ আরো অনেকে।

এ সময় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু পাসের হার বাড়ানো নয়, বরং গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী তৈরি করা।

চেয়ারম্যান মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বোর্ডের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ইবতেদায়ি ও সিনিয়র মাদরাসাগুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন অবহেলিত ছিলো, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে।

তিনি আরো জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রথা বিলুপ্ত করে সরাসরি নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চালুর চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি এবং এমপিওভুক্তির জন্য প্রণীত নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি মাত্র মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিএমটিটিআই) রয়েছে। এখানে একজন শিক্ষক একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ফের প্রশিক্ষণ নিতে ৩৮ বছর সময় লাগতে পারে, তাও নিশ্চয়তা নেই। এই সংকট দূর করতে আমাদের পরিকল্পনা, প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিএমটিএফ বিএমটিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

সভায় অংশগ্রহণকারী অধ্যক্ষ ও সুপাররা নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#মাদরাসা #শিক্ষাব্যবস্থা # ইবতেদায়ি মাদরাসা