সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক খাতা দেখছেন ইংরেজির! | পরীক্ষা নিউজ

সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক খাতা দেখছেন ইংরেজির!

কোন শিক্ষক কোন বিষয়ের খাতা পাচ্ছেন এগুলো এপ্রুভ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।

#শিক্ষক #পরীক্ষা #খাতা #এসএসসি

পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এর খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের। এর ধারাবাহিকতায় এবারো ঘটেছে অঘটন।

সর্বশেষ এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হয়ে ইংরেজি বিষয়ের খাতা দেখার মতো ঘটনা ঘটেছে। একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। এদিকে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলছেন সহকারী শিক্ষকের এমন কাজের জন্য দায়ী প্রধান শিক্ষকই। তাই দুইজনকেই শোকজ করা হয়েছে।

সম্প্রতি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অভিযুক্ত এই দুই শিক্ষককে শোকজ দিয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম মোর্তজা আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কোন শিক্ষক কোন বিষয়ের খাতা পাচ্ছেন এগুলো এপ্রুভ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। বোর্ডের যে ওটিপি (ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড) আছে তা কেবল প্রধান শিক্ষকরাই এপ্রুভ করতে পারেন। তো সেখানে একজন সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক ইংরেজির খাতা নিয়েছেন আবার সেই প্রধান শিক্ষকই অভিযোগ করেছেন। প্রধান শিক্ষক আমাদের অভিযোগ করে বলেছেন, উনি সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হয়েও কেনো ইংরেজি খাতা নিলেন? এসব বিষয়ের কারণেই আমরা তাদের দুজনকে শোকজ করেছি। এস এম মোর্তজা আলম সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক কেনো ইংরেজি খাতা নেবেন আর প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম কেনো সেটা এপ্রুভ করলেন? সে তো জানতোই উনি সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক। এটা তো বোর্ড জানে না, কে কোন বিষয়ের শিক্ষক। এটা তো সে-ই জানেন। প্রধান শিক্ষকই জানেন। অর্থাৎ সে নিজেই এই কাজ করেছে আবার সেই অভিযোগ এনেছে। সেই কারণে আমারা দুজনকেই শোকজ করেছি, তারপর অন্য কথা। সাব্জেক্টের বাইরে কেউ এক্সামিনার হতে পারবে না। আর কোনো কথা নেই। আমরা তো এ ব্যাপারে ছাড় দেবো না।

সহকারী শিক্ষক এস এম মোর্তজা আলমকে দেয়া নোটিশে বলা হয়, সমাজ বিজ্ঞান এর শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজি ২য় পত্রের ওটিপিতে (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) কেনো আপনার নাম ও অন্যান্য তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছেন? এবং ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি ২য় পত্রের উত্তরপত্র বোর্ড থেকে নিয়েছেন। এ ধরনের অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার কারণে কেনো আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার কারণ চিঠি পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিনের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।

প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমকে দেয়া নোটিশে বলা হয়, আপনি আপনার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এস এম মোর্তজা আলম, সমাজ বিজ্ঞান এর শিক্ষক হওয়া সত্বেও ইংরেজি ২য় পত্রের ওটিপিতে তার নাম তালিকাভুক্ত করে ওটিপি অনুমোদন করেছেন। এখানে আপনি দায়িত্বে অবহেলা করে সেই শিক্ষককে অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করেছেন। সে কারণে কেনো আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার কারণ চিঠি পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিনের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক #পরীক্ষা #খাতা #এসএসসি