নতুন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়া যাবে না কোনো রাজ্যের ওপর! শুক্রবার (৯ মে) এক মামলায় এমনই মন্তব্য করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জেবি পারদিওয়াল এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করার বিষয়ে কোনো রাজ্যকে বাধ্য করা যাবে না।
কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য আপত্তি তোলে। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো অবিজেপি দল শাসিত রাজ্যগুলি। কেন্দ্রের নির্দেশে দেশের অনেক রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন হলেও বাংলা, তামিলনাড়ু এখনো নিজেদের পুরনো অবস্থানে অবিচল।
প্রথম থেকেই তাদের বক্তব্য ছিলো, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা যৌথ তালিকাভুক্ত। তবে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সংবিধানবিরোধী। ওই রাজ্যগুলি এখনো পর্যন্ত নয়া শিক্ষানীতি চালু করেনি। কেনো তারা কেন্দ্রের নির্দেশ মানছে না, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন জিএস মানি নামে এক আইনজীবী। তার আবেদন, কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন ঘটাতে রাজ্যগুলি সাংবিধানিক ভাবে বাধ্য।
তার কথায়, তিন ভাষাকে কেন্দ্র করে এই নীতির বিরোধিতা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে মামলাকরীর আবেদন, রাজ্যগুলোকে যেনো জাতীয় শিক্ষানীতি মানতে বলা হয়!
নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। তার দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকটি রাজ্যের শাসকদল অহেতুক নতুন শিক্ষানীতিতে রাজনৈতিক রং লাগাচ্ছে। নতুন শিক্ষানীতি কেবল শিক্ষার ক্ষেত্রে অভিন্নতা প্রদান করতে চায়। সমাজের সকল স্তরের স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সব ভারতীয় ভাষা বিনামূল্যে শেখানো উচিত।
তবে সুপ্রিম কোর্ট ওই আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানায়, জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করার জন্য কোনো রাজ্যকে বাধ্য করতে পারে না তারা। তবে রাজ্যের পদক্ষেপ যদি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, তবে শুধু সে ক্ষেত্রেই আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে।