ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল | স্কুল নিউজ

ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল

ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষক আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

#শিক্ষক #শিক্ষার্থী

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছাত্রীদের সঙ্গে দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) নামের এক শিক্ষকের তালমাতাল নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় অভিভাবক ও সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়েছে।

ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষক আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটি হিন্দি গানের তালে তালে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে নাচানাচি করছেন।

আর তাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের একদল ছাত্রীরা হৈ-হুল্লোড় করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে নাচানাচি করছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারিতে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই দিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে গান বাজিয়ে তালমাতাল অঙ্গভঙ্গিতে নাচানাচি করেন।

পরবর্তীতে অশালীন অঙ্গভঙ্গির এমন নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়েছে।

সচেতন মহলের কেউ কেউ ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় হামিম খান নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নৈতিকতার শিক্ষা দেন।

তিনি আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনিও শিক্ষক; নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, তিনি বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। ওনার জ্ঞানবুদ্ধি একটু কম আছে।

বিষয়টি নিয়ে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটু সংস্কৃতিমনা মানুষ। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নাচানাচি করেননি তিনি।

তবে ওভাবে নাচানাচি করাও তার ঠিক হয়নি।’

নাচানাচি করা ভুল হয়েছে স্বীকার করে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) বলেন, ‘প্রথমে আমি ছেলেদের সঙ্গে নেচেছি। পরে মেয়েরা বললে তাদের সাথেও নাচি। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে নাচের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি এডিট করে অন্য গান যুক্ত করা হয়েছে।’ এসব করা গোনাহের কাজ বলে তিনি জানান।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। যেহেতু কমিটির সভাপতি হিসেবে আমিই (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছি। ওই দিন কোনো রিহার্সেল বা অনুষ্ঠান ছিল কি না খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

#শিক্ষক #শিক্ষার্থী