ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান সরকার যে আইন (সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ) করেছে সেটা ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলেও এ ধরনের আইন ছিল না বলেন মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি এ বি এম আবদুস সাত্তার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তাকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যে কালো আইনটা হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আইনগতভাবেই বিভিন্ন কাজে সচিবালয়ে আসতে পারি। অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি, সরকারি উচ্চ মহল থেকে আমাকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আমার অপরাধ কী সেটা জানতে চাই। আমি তো আন্দোলন করছি না। আমরা আন্দোলনের সহযাত্রী বা নৈতিক সমর্থনকারী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যে আইন করেছে সেটা ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলেও এ ধরনের আইন ছিল না। আপনারা এটাও জানেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা দোসর তাদের তালিকা কিন্তু প্রকাশ করা হয়েছে। তারা এখনও প্রশাসনের শীর্ষমহলে বসে আছে। কেন? তাদের থাকার তো কোনো নৈতিক অধিকার নেই। কিন্তু তারা এই সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে আবদুস সাত্তার বলেন, একই সঙ্গে ঐক্য ফোরাম থেকে কিছু সিনিয়র অফিসার আজকে এখানে এসেছি, আন্দোলনকারীদের শান্ত রাখার জন্য যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়। আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে শতভাগ একাত্মতা ঘোষণা করছি।
সাবেক এ আমলা বলেন, আমাদের মূল দাবি ছিল আওয়ামী দোসরদের শীর্ষপদ থেকে অপসারণ করতে হবে। এখন যেটা শুরু হয়েছে সেটা কালো আইন নিয়ে। আপনারা জানেন এই আইনে সরকার যে কোনো সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারে। এটাতো হতে পারে না। এটাতো কোনো সভ্য জাতির আইন হতে পারে না।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।