‘এ সরকার শিক্ষা মেরামতের জন্য কিছু করছে না’ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

‘এ সরকার শিক্ষা মেরামতের জন্য কিছু করছে না’

কোচিংয়ের দরকার হলো কেনো তার মুলে যেতে হবে। কারণ উদ্ঘাটন করে এর কারণকে নির্মূল না করলে এই অসুখ জিন্দেগিতেও ভালো হবে না। এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেছিলেন এই প্রথমবার কোচিং সেন্টার একটা থ্রেটে আছে, আমি তাদের বলবো, তারা যেনো অন্য ব্যবসা শুরু করেন!

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, এহলান জারি করে কোচিং সেন্টার শুরু যেমন হয়নি আবার এহলান জারি করে কোচিং সেন্টার বন্ধও করা যাবে না।

বুধবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ পোস্টে বলেন, কোচিংয়ের দরকার হলো কেনো তার মুলে যেতে হবে। কারণ উদ্ঘাটন করে এর কারণকে নির্মূল না করলে এই অসুখ জিন্দেগিতেও ভালো হবে না। এর আগে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেছিলেন এই প্রথমবার কোচিং সেন্টার একটা থ্রেটে আছে, আমি তাদের বলবো, তারা যেনো অন্য ব্যবসা শুরু করেন!

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরো লেখেন, কি দেখেছিলাম? কোচিং আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানমন্ডি, লালমাটিয়াতে ইংরেজি মাধ্যমের কোচিং সবচেয়ে বেশি। এই জন্য কি ইংরেজি মাধ্যমের কারিকুলাম দায়ী? কারিকুলাম পরিবর্তন করে কোচিং বন্ধ করার চিন্তা নির্বুদ্ধিতা। হ্যাঁ, বন্ধ করতে পারেন যদি লেখাপড়াই বাদ দিয়ে দেন।

তাহলে কোচিং বন্ধ করতে হলে কি করতে হবে? স্কুলে ভালো মানের শিক্ষক দিতে হবে। তারা যেনো ভালো উন্নত জীবনযাপন করতে পারে সেই জন্য শিক্ষকদের ভালো বেতন দিতে হবে। স্কুলে স্কুলে বৈষম্য দূর করতে হবে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন প্রতিটা ক্লাস ছোট হয় ও শিক্ষকেরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের প্রতি যথেষ্ট নজর দিতে পারে এবং স্কুলেই সব বুঝিয়ে দিতে পারে। বাবা মায়েরা যেই টাকা কোচিংয়ে ব্যয় করে সেটা স্কুলে দিয়ে দিলে শিক্ষকদের বেতন সহজেই বাড়ানো যায়। ক্লাসে ভালো পড়ালে কোচিংয়ের আর প্রয়োজন হবে না, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, তখন কোচিং বন্ধের আইনও করতে হবে না। তারপরেও কিছু শিক্ষার্থীর কোচিং ও প্রাইভেট পড়তে হবে। সারা পৃথিবীতেই তা আছে। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে যেতে না হলে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম কমবে, শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির সময় পাবে। তা ছাড়া বাসায় নিজে লেখাপড়া পড়ালেখা শেষে চিন্তার জাবর কাটার সময় পাবে।

এই দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষা ক্ষেত্রে। গত সরকারের ওপর মানুষ শিক্ষার কারণেই ক্ষেপেছিলো। অথচ এই সরকার শিক্ষা মেরামতের জন্য কিছু করছে না। অথচ এই ক্ষেত্রেই বিপ্লবী পরিবর্তন দরকার। এমনকি শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি কিংবা শিক্ষা সংস্কারের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই, পোস্টে যোগ করেন তিনি।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়