এবার ইউআইইউর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীদের শোকজ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

এবার ইউআইইউর অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীদের শোকজ

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি তাদের কোনো নজর নেই, উল্টো আন্দোলনে যুক্ত কিছু শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

#ইউআইইউ #বিশ্ববিদ্যালয়

এবার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীদের শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) পর্যন্ত এ নোটিশ শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছালে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশ পাওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের নোটিশ স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের কার্যক্রম করে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আবারো প্রকাশ পায় তারা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত।

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি তাদের কোনো নজর নেই, উল্টো আন্দোলনে যুক্ত কিছু শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ইউআইইউর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, ২৬ এপ্রিল রাত থেকে ২৭ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত উপাচার্যসহ শিক্ষকদের অফিসে আটকে রেখেছিলো ছাত্ররা এবং বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাদেরকে বাড়িতে যেতে দেয়নি, আপনি সেসব ছাত্রদের মধ্যে একজন। আপনার এহেন কার্যকলাপ ইউআইইউর শৃঙ্খলাবিধির লঙ্ঘন।

এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি লঙ্ঘনের জন্য কেনো আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা এই নোটিশ জারির তিন কার্যদিবসের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। আপনার জবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির কাছে যথাযথ সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

নির্ধারিত তিন কার্যদিবসের মধ্যে কোনো জবাব না পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের ২৬ মে মধ্যে স্বেচ্ছায় ভর্তি বাতিলের আবেদন করার আহ্বান জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যারা এই সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন তারা বর্তমান সেমিস্টারের টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফেরত পাবেন। শিক্ষার্থীদের কাছে এই সিদ্ধান্তের চিঠি পৌঁছালে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি শিক্ষার্থীদের মুখে একটি বর্বর চপেটাঘাত। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শান্তিপূর্ণভাবে যুক্ত, সেখানে বোর্ডের দায়িত্ব ছিল আলোচনায় বসা, সমাধানের পথ খোঁজা। কিন্তু তার পরিবর্তে কী করলো তারা? আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি— বোর্ড অব ট্রাস্টিজের হুমকিস্বরূপ চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২৬ এপ্রিলের মিথ্যা অভিযোগ ও বহিষ্কারের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দাবিগুলোর যৌক্তিক সমাধানে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক আলোচনা শুরু করতে হবে। না হলে এই আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে। আমরা চুপ থাকবো না। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে রূপান্তর করবো।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৬ এপ্রিল উপাচার্য ও অনুষদ সদস্যদের আটকে রাখার ঘটনাকে তারা গুরুতরভাবে দেখছে। অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীদের ২৬ মে এর মধ্যে স্বেচ্ছায় ভর্তি বাতিলের আবেদন করার আহ্বান জানানো হলো। যেসব শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন, তারা বর্তমান সেমিস্টারের টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফেরত পাবেন। নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এছাড়াও ২৬ এপ্রিলের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে বহিষ্কারের মতো ব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে, যারা স্বেচ্ছায় ইউআইইউ ত্যাগ করবেন, তারা শাস্তিমূলক প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি পাবেন।

তবে শিক্ষার্থীরা ২৬ এপ্রিলের ঘটনাকে মিথ্যা বলছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, আমাদের কাছে ভিডিয়ো প্রমাণ রয়েছে— ২৬ এপ্রিল কোনো শিক্ষককে অবরুদ্ধ করা হয়নি। তারা কক্ষে স্বেচ্ছায় ছিলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলাম। এই ঘটনায় যারা মিথ্যাচার করছে, তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে শিক্ষার্থীদের অপরাধী বানাচ্ছে। এটা নিপীড়নের এক নগ্ন প্রচেষ্টা, যা আমরা কোনোমতেই মেনে নেবো না।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ইউআইইউ #বিশ্ববিদ্যালয়