প্রতীকী ছবি
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা সুপারের যোগদানকে কেন্দ্র করে চাঁদা চাওয়ায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন: মাঝগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবুল ইসলাম শিপন, সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী হৃদয় আহমেদ, ইয়ামিন হোসেন, ফিরোজ হোসের, শাকিল আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত আকিব।
সাইদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলছিলো। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শিহাব মঞ্চে উঠে মাইক কেড়ে নিয়ে সভা পণ্ড করার চেষ্টা করে। তার অভিযোগ স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়া সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত জনতা-এর প্রতিবাদের এক পর্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, শিহাব বেশ কিছুদিন যাবত সুপার আবুল হোসেন সাঈদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
শিহাব চাঁদাদাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুপার আবুল হোসেন সাঈদীকে অনিয়মের অভিযোগে ২৮ বছর আগে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। কিছুদিন যাবত মাদরাসায় গোপনে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তিনি গোপনভাবে মিটিংয়ের আয়োজন করেন।
সুপার আবুল হোসেন সাঈদী বলেন, আমি ২৮ বছর মামলা চালিয়ে আমার পক্ষে রায় হয়। আমি সেই মোতাবেক গত নভেম্বর মাসে মাদরাসায় যোগদান করি। কিন্তু ছাত্রদল সভাপতি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউএনও ও মাদরাসা পরিচালানা কমিটির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার অভিভাবক সমাবেশে যোগদান করার কথা ছিল। গিয়ে দেখি সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।