প্রতীকী ছবি
বরগুনার তালতলীতে নজরুল ডাকুয়া স্মৃতি সংসদ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত রুহুল আমিন গোলন্দাজ নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মেহেদী, হৃদয় ও রবিউল নামের তিন জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ছোটবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। এ প্রতিবেদন লেখা অবধি সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
ছোটবগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির রিয়াজ বলেন, মাঠের বাহিরে বাজারের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। খেলার মাঠে কিছুই হয়নি। মারধর যারা যারা করেছে তা একান্তই তাদের বিষয়।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, উপজেলার ছোটবগী গ্রামের শাহীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকরা নজরুল ডাকুয়া স্মৃতি সংসদ ফুটবল খেলার আয়োজন করে। খেলাটি বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার খেলার শেষ সময় খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে রাব্বি গোলন্দাজ ও মিরাজ আকনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু মিরাজ আকন এ মীমাংসা মেনে নিতে রাজি না। মারধরের খবর পেয়ে মিরাজ আকনের বাবা শহীদুল আকন ও হৃদয় শরীফের বাবা সোহরাফ শরীফ তাদের শতাধিক লোকজন নিয়ে রাব্বি ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দফায় দফায় চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। এতে বগী বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
দুই পক্ষের দফায়-দফায় সংঘর্ষে রুহুল আমিন গোলন্দাজ (৩৬), বাদল গোলন্দাজ (৩৫), রাব্বি গোলন্দাজ (২২), শহীদুল হাওলাদার (২৩), আমানুল হাওলাদার (২২), দোলোয়ার হাওলাদার (৫০), শাহীন হাওলাদার (২৫), মিরাজ আকন (২৮), মেহেদী আকন (২৫), রবিউল (২২), হৃদয় শরীফ (২২), সাব্বির আকন (১৮), রাকিবসহ (২৬) অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত রুহুল আমিন গোলন্দাজ, বাদল গোলন্দাজ ও রাব্বি গোলন্দাজ, মেহেদী, রবিউল ও হৃদয় শরীফকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা রুহুল আমিন গোলন্দাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং মেহেদী, হৃদয় ও রবিউলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।