স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রকে মারধর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ | স্কুল নিউজ

স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রকে মারধর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

এ বিষয়ে চকরাজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, এ সময় আমি বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলাম।

#স্কুল #শিক্ষক #শিক্ষার্থী

রাজশাহীর বাঘায় দশম শ্রেণির ছাত্র জুয়েল হোসেন ও সোহেল হোসেনকে মারধর করে বহিরাগতরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও মারধরকারীদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ করেছেন স্কুলটির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্কুলে প্রবেশের সময় নবম শ্রেণির ছাত্র শরিফুল ইসলামের সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্র জুয়েল হোসেন ও সোহেল হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। শরিফুল বিষয়টি তার বাবা বাবুল শিকদারকে ফোনে জানালে, বাবুল শিকদারসহ ৫-৬ জন বহিরাগত স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমেই জুয়েল ও সোহেলকে মারধর করে।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, এ সময় আমি বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলাম। খবর পেয়ে সহকারী কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির শুরু হওয়ায় যেতে পারিনি। তবে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার ও থানাকে অবগত করা হয়।

সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, অ্যাসেম্বলি শেষ করে প্রথম ক্লাসের পরে দ্বিতীয় ক্লাসের জন্য শিক্ষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় কিছু বহিরাগতরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে দশম শ্রেণির দুই ছাত্র জুয়েল ও সোহেলকে মারধর শুরু করে। আমরা এগিয়ে গেলে তারা চলে যায়। পরে ছাত্ররা বিক্ষোভ করে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল মোল্লা বলেন, আমি খবর পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে তারা (বহিরাগত) দুই ছাত্রকে মারধর করে চলে গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।

বাঘা থানার ওসি আফম আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অবগত আছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, ঘটনাটি স্কুল থেকে আমাকে জানিয়েছেন। শিক্ষা অফিসারকে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।

#স্কুল #শিক্ষক #শিক্ষার্থী