উচ্চশিক্ষায় ইইউর সহযোগিতা চায় ইউজিসির | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

উচ্চশিক্ষায় ইইউর সহযোগিতা চায় ইউজিসির

প্রফেসর ফায়েজ বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ইইউর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি এবং বিশ্ব দরবারে নিজেদের মেধা যাচায়ের সুযোগ পাচ্ছে।

#উচ্চশিক্ষা #শিক্ষার্থী #বিশ্ববিদ্যালয় #বিদেশি শিক্ষার্থী

ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, যৌথ গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ।

বাংলাদেশের জন্য ইরাসমাস প্লাস ইনফরমেশন-ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বুধবার (৭ মে) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এ ছাড়া ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. মাছুমা হাবীব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এবং ইরাসমাস প্লাস ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট মোছা. জেসমিন পারভীন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুই চাকমা, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইউজিসি ও ইইউর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

প্রফেসর ফায়েজ বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ইইউর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি এবং বিশ্ব দরবারে নিজেদের মেধা যাচায়ের সুযোগ পাচ্ছে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানে ইইউ’র সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। তিনি ইউজিসি ও ইইউ-এর বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাইকেল মিলার বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ একটি সফল প্রোগ্রাম। বাংলাদেশি তরুণ শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

এ ছাড়া, ইরাসমাস প্লাস ইনফরমেশন-ডে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ বিষয়ে অবহিত হবে এবং বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং দেশের চাহিদার নিরিখে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে ইউজিসি কাজ করছে।

ইইউর ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করবে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ইইউর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

প্রফেসর মাছুমা হাবীব বলেন, ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রোগাম অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় লাভ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন আইডিয়া বিনিময় করতে পারবে।

সভায় ইরাসমাস প্লাস প্রোগামের আন্তর্জাতিক মান, উচ্চশিক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, ইরাসমাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট এর ভূমিকা নিয়ে নলেজ শেয়ারিং সেশন পরিচালনা করেন ইউরোপীয় কমিশনের ড. জেনি লিন্ড, ড. আশিকুর রহমান ও জেসমিন পারভীন।

প্রসঙ্গত, ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের আওতায় ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্সে পড়াশোনার সুযোগ দেয়া হয়। ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ এ বৃত্তির যাত্রা শুরু ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে।

#উচ্চশিক্ষা #শিক্ষার্থী #বিশ্ববিদ্যালয় #বিদেশি শিক্ষার্থী