হ/য়রানির ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

হয়রানির ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন ১৩ দাবি মেনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি না দিলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম প্রত্যাখান এবং কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

#ইউআইইউ #শিক্ষার্থী

মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আমাদের নামে মিথ্যা এলিগেশন দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের ভার্সিটির পুরানো গেম। এটা করছে মূলত ভার্সিটি অথরিটি।

মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি ও দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) স্মারকলিপি দেন। পরে তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন ১৩ দাবি মেনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি না দিলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম প্রত্যাখান এবং কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, অনিয়ম তদন্তে যে কমিটি করা হয়েছে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে তদন্ত শেষ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর পদক্ষে নেবো।

এর আগে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উসকানিতে কয়েকটি ভুইঁফোড় অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে চলা অনিয়মের প্রতিবাদকে কথিত ওইসব সাংবাদিকরা ছোট করে দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে কথিত সাংবাদিকরা চিহ্নিত হয়েছেন শিক্ষার্থীদের কাছে।

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা এড়িয়ে চলছেন।

এর আগে ইউআইইউর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন। আন্দোলনকারীর কিছু শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলতে উপচার্য তার পদত্যাগপত্রে কৌশলে আশ্রয় নেন। বিষয়টি ধরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অচলাবস্থা তৈরি করতেই উপচার্য তার দলবল নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এমন পরিস্থিতিতে অনুসন্ধানে ট্রাস্টি বোর্ড তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সোমবার। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ড তাদের গঠন করা কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

যেখানে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের নিজস্ব লোক দিয়েই তদন্ত করছেন বলে অভিযোগ তুলেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়। তাদের কথা ছাত্র প্রতিনিধি বা নিরপেক্ষ কাউকে ছাড়া প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে না।

ভিসিসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার সঠিক চিত্রও সামনে আসবে না। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের। ট্রাস্টি বোর্ডের গঠন করা কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানের কারণে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে পদত্যাকে বাধ্য হয়ে ’কিছু শিক্ষার্থীর’ দাবির মুখে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেন। বিপত্তি বাঁধে সেখানেও। শিক্ষার্থীরা ওই রাতে উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়াসহ ১১ শীর্ষ কর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ক্যাম্পাসে। পরে তার পদত্যাগ করলে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানের কারণে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে নিয়ে পদত্যাকে বাধ্য হয়ে ’কিছু শিক্ষার্থীর’ দাবির মুখে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেন। বিপত্তি বাঁধে সেখানেও। শিক্ষার্থীরা ওই রাতে উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়াসহ ১১ শীর্ষ কর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ক্যাম্পাসে। পরে তার পদত্যাগ করলে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ইউআইইউ #শিক্ষার্থী