শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা : নির্বাহী সভায় তোপের মুখে চেয়ারম্যান | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা : নির্বাহী সভায় তোপের মুখে চেয়ারম্যান

তবে, আন্দোলনকারীদের ভয়ে এনটিআরসিএ অফিসে সভা অনুষ্ঠিত না হয়ে অন্যত্র হয়েছে। সভা শুরুর আগেই সেখানে উপস্থিত হন দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর একজন প্রতিবেদক।

#শিক্ষক নিবন্ধন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের( এনটিআরসিএ) ১০৭তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এ বোর্ড সভা হয়। তবে, আন্দোলনকারীদের ভয়ে এনটিআরসিএ অফিসে সভা অনুষ্ঠিত না হয়ে অন্যত্র হয়েছে। সভা শুরুর আগেই সেখানে উপস্থিত হন দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর একজন প্রতিবেদক। সভা শেষে বোর্ড সদস্যদের কাছে জানতে চান বিভিন্ন বিষয়। তারা জানান, ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চেয়ারম্যানের বিপক্ষে কিছু বলেননি। তিনি শুধু জানতে চেয়েছেন অন্যান্য বিষয়ের আবেদনকারীদের মাদ্রাসার শূন্যপদে সুপারিশ করা যাবে কিনা।

নির্বাহী বোর্ডের অপর একজন সদস্য দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, চেয়ারম্যানের জুনিয়ররা যারা মন্ত্রণালয় থেকে সভায় যোগ দিয়েছেন তাদের কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান মফিজকে জানতে চাওয়া হয়, যারা ভাইভা প্রার্থী তারা কিভাবে ফল প্রকাশের আগে ও পরে আপনার সঙ্গে একান্তে আলাপ আলোচনা করে? যেগুলোর অডিও- ভিডিও এখন সরকারের গলার কাঁটা। চেয়ারম্যানকে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কেন প্রার্থীদের বলেছেন যে, মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র ২৫ হাজার জনকে পাস করাতে বলা হয়েছে ? চেয়ারম্যানকে আরো জানতে চাওয়া হয়, নির্ধারিত দিনে ভাইভায় যোগ দিতে ব্যর্থ হওয়াদেরকে নতুন তারিখে (৩১ মে) ভাইভা নেওয়া হলো। এটা কোন বিধানে আছে? এ সময় চেয়ারম্যান অসত্য তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে বলেন, ‘এটা রেওয়াজ।’ তখন অন্যান্যরা বলেন, নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রেওয়াজ মানার কোনো সুযোগ আছে? তবে, একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে যে, অতীতে কখনো ভাইভায় অনুপস্থিতদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

চেয়ারম্যানকে জানতে চাওয়া হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন ভাইভা তাড়াতাড়ি শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার ফলে শত শত প্রার্থীর বয়স পার হয়ে গেছে। সভায় একজন সদস্য বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি ভাইভা বোর্ড বেশি সম্মানী, বেশি বেশি নিজেদের লোকদের এক্সটার্নাল হিসেবে নিয়ে আসা।

ফল প্রকাশে ভুলের দায় সিস্টেম অ্যানালিস্টের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান। তখন বোর্ড থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ঘুরিয়েপেচিয়ে কিছু কথা বলেছেন সিস্টেম অ্যানালিস্ট। পরে তিনি বলেছেন, সরাসরি বসের বিরুদ্ধে আর কি বলা যায়। আরেকবার টেলিটকের ওপরও দায় চাপানোর চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান।

নাম না প্রকাশের শর্তে আরেকজন সদস্য বলেন, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ ও নিয়োগ সুপারিশের বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিব এবং দীনা পারভীনের কর্তৃত্ব খুব বেশি। এর ফলেই অচলাবস্থা। অধিকাংশ সদস্য জানিয়ে দিয়েছেন, একক সিদ্ধান্তে সবকিছু করে ভুলের দায় সবাই কেন নেবেন?

‘দেখি আজকের সভার রেজুলেশনে কী লেখা হয়,’ যোগ করেন তিনি।

#শিক্ষক নিবন্ধন