ছবি : সংগৃহীত
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সরকারি চাকরি আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ -২০২৫ জারির উদ্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তারা বছেন, এ আইন জারির উদ্যোগ থেকে সরকার ফিরে না আসলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
রোববার বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
সংশোধন অধ্যাদেশে কর্মচারীদের মৌলিক স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন ধারা, উপধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। এমনকি কর্মচারীদের কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না রেখে স্বল্প সময়ের নোটিশে চূড়ান্ত চাকরিচ্যুতির বিধানও রাখা হয়েছে।
এ ধরনের অধ্যাদেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও সংবিধান বিরোধী। এ ধরনের অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নের আগে কোনো স্বীকৃত সংগঠন বা জনমত যাচাই করা হয়নি।
যেখানে ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি বিতর্কিত সরকারের পতন এবং দেশের ১৮ কোটি জনগণ সুন্দর একটি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ঠিক এ মুহুর্তে জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে এ ধরনের বিতর্কিত অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ করে আন্দোলনমুখী করা গভীর সড়যন্ত্রের শামিল বলে আমরা মনে করি।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির উদ্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এম এ হান্নান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন তীব্র প্রতিবাদ জানান।
একই সঙ্গে প্রশাসনের কেন্দ্র বিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের উদ্যোগে বিতর্কিত অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ একাত্মতা পোষণ করছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি কর্মচারীদের আন্দোলন উপেক্ষা করে বিতর্কিত কালো আইন ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির উদ্যোগ থেকে পেছনে ফিরে না আসেন, তাহলে সারা বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়ার মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।