অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভায় অন্তত ৯০০ জনের বেশি ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ জনের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে ‘৩৫ ঊর্ধ্বরা সবাই ফেল’ এটি আসলে গুজব। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা।
অসংখ্য প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দৈনিক শিক্ষাডটকম জানার চেষ্টা করেছে, এবার ৩৫ ঊর্ধ্বদের কি হলো?- এই প্রশ্নের উত্তরই জানানো হলো।
এর আগে গতকাল বুধবার অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ হাজার ৫২৮ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। বয়স ও সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১২ ও ১৩ জুলাই নেয়া অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয় গতকাল।
জানা যায়, এতে অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৬৫৬ জন পরীক্ষার্থী। আর এ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মৌখিক পরীক্ষা চলতি বছরের ৩১ মে শেষ হয়েছে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ অক্টোবর অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গড় পাসের হার ছিলো ২৪ শতাংশ। পরে তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করা প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান আর শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।